ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াও ঠোঁট কালচে হলে সতর্ক হোন এখনই
হতে পারে বড় কোনো রোগের লক্ষণ
বাহ্যিক সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ ঠোঁট। অসংখ্য প্রেমের কবিতা, গান লেখা হয়েছে ঠোঁট নিয়ে। ত্বক সচেতন মানুষেরা তাই ঠোঁটের প্রতি একটি বেশিই সচেতন। ঠোঁট কালো হয়ে গেলে অনেকেই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান।
সাধারণত, ধূমপান, অতিরিক্ত চা-কফি পান, নিয়মিত লিপস্টিক ও লিপগ্লসের ব্যবহার, ঠোঁটের আর্দ্রতা কমে গেলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। যারা বেশি বেশি রোদে যান তাদের ঠোঁটেও কালচে দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে ঠোঁট কালচে বর্ণ ধারণ করতে থাকলে শুধু এসব কারণে হচ্ছে বলেই ধরে নেওয়া যাবে না। কারণ, কিছু বড় রোগের উপসর্গ হিসেবেও ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এরকম কিছু কারণ সম্পর্কে-
অ্যাডিসনস ডিজিজ: এই রোগের প্রভাবে হাইপার পিগমেন্টেশন ঘটতে পারে। যা কালো ঠোঁটের রং করে দেয়। এই রোগের প্রভাবে শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসোল এবং অ্যালডোস্টেরন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে দেহের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে আসতে পারে। বাদ পড়ে না ঠোঁটও।
ক্যান্সার: ঠোঁটের কালো দাগ ক্যান্সারের উপসর্গও হতে পারে। বিশেষত যদি এই দাগ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, সংশ্লিষ্ট স্থানে রক্তপাত হয় এবং ক্রমশ ক্ষতের চেহারা নিতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মেলানোমা নামক ক্যান্সারের লক্ষণ এটি।
সায়ানোসিস: ঠোঁট নীলচে হয়ে এলে এবং তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি সায়ানোসিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
এসব ছাড়াও বিভিন্ন কারণে গোলাপি ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে। সন্তানধারণের পর মায়েদের শরীরে হরমোনাল বদল আসে সেই কারণেও অনেকের ঠোঁট কালচে হতে শুরু করে। এছাড়া বিশেষ কোনো ওষুধের প্রভাবে ও সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবেও বদলে যেতে পারে ঠোঁটের রং।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে
Comments
Post a Comment